বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০৭:১৭ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধার সবকটি নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্রের তিস্তামুখ ঘাট পয়েন্টে পানি ২১ সে.মি. কমে বিপদসীমার ৩৯ সে.মি. উপর দিয়ে এবং ঘাঘট নদীর পানি গাইবান্ধা শহর পয়েন্টে ১৭ সে.মি. কমে বিপদসীমার ২২ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এছাড়া তিস্তা ও করতোয়া নদীর পানি বিপদসীমার নিচে রয়েছে।
এদিকে পানি কমতে শুরু করায় বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এলেও তাদের দুর্ভোগ কমেনি। তবে বন্যার পানি সম্পুর্ণ নেমে না যাওয়া পর্যন্ত মানুষের কষ্ট লাঘব হবে না। বন্যা দুর্গত এলাকাগুলোতে বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার যথেষ্ট অভাব রয়েছে।
জেলা প্রশাসন সুত্র জানিয়েছে, ফুলছড়ি, সাঘাটা, সুন্দরগঞ্জ ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার ২৩টি ইউনিয়নে ৯৬টি গ্রাম বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। পানি বৃদ্ধির ফলে ২১ হাজার ৮৩৪টি পরিবারের ৪৭ হাজার ৪৬৬ জন মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বন্যা কবলিত ওই ৪ উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ইতিমধ্যে ৮০ মে. টন চাল, নগদ ৬ লাখ, শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ১৫ লাখ ৫০ হাজার, গো খাদ্য ক্রয় বাবদ ১৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা ইতিমধ্যে বিতরণের কাজ চলছে। অপরদিকে ১৫৫টি শুকনা খাবার প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ত্রাণ ভান্ডারে জিআর ৫২৫ মে. টন চাল ও ১৬ লাখ টাকা মজুদ রয়েছে। যা বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ করা হবে।